ডোমেইন অথরিটি কি ? কিভাবে চেক করবেন এবং বাড়াবেন। [Domain authority In Bangla ]

ডোমেইন অথরিটি  কি ? কিভাবে চেক করবেন এবং বাড়াবেন। [Domain authority In Bangla ]

ডোমেইন অথরিটি  কি ? কিভাবে চেক করবেন এবং বাড়াবেন। [Domain authority In Bangla]- ডোমেইন অথরিটি গুগলের ২০০টি রেঙ্কিং ফ্যাক্টরের মধ্যে ব্যাকলিংকের পরেই এটা সব পরিচিতো এবং অন্যতম যেখানে গুগল একটি ব্লগ বা সাইটকে রেঙ্ক করান সর্ব বিহত পজিশন থেকে সর্ব নিন পজিশনে এই ডোমেইন অথরিটির মাধ্যমে বা [DA]।

আপনি যদি দেখেন এই DA বা ডোমেইন অথরিটি তাহলে খালি কিছু নম্বর বা মেট্রিকস দেখাবে 0 থেকে 100 মধ্যে কিন্তু এই মেট্রিকস বা নম্বর REPRESENT করবে আপনার রেঙ্ক কোথায় হবে কিন্তু তবে সব থেকে ন্যাচারাল যেই বিষয় বস্তুটি এখানে থেকে যদি আপনি প্রচুর ইনকামিং লিংক পান যে কোনো রকমের ডুফেললো বা নোফেললো সেই ক্ষেত্রে ডোমেইন অথরিটি বেড়ে যাবার সম্বভনা অনেক টাই থেকে যায়।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি তাদের নিজেরদের ডোমেইন অথরিটি মাপার বা জানার টুলস আছে তার মধ্যে সব থেকে পপুলার হচ্ছে MOZ যে কিনা শুধু নির্ভুল ডোমেইন অথরিটি না পেজ অথরিটি পর্যন্ত বলে দিতে পারে যেই পেজ অথরিটি আবিষ্কার করে গিয়েছিলো গুগলের প্রতিষ্টাতা ল্যারি পেজ এবং এই ম্যাট্রিক্সটি এখনো পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় থাকে ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানোর জন্য


ডোমেইন অথরিটি  কি ?  [Domain authority In Bangla ]


ডোমেইন অথরিটি সাধারণতো 0 থেকে 100 পর্যন্ত একটি নম্বর হয়ে থাকে যেটার ভিত্তিতে একটি ব্লগ বা সাইট কে ব্যাবহারিক ভাবে ধরাহয় কত ভালো সাইট টির behaviors এবং কোথায় রেঙ্ক করতে পারে গুগলের মধ্যে, কিন্তু একটি ব্লগ বা সাইটের পেজ রেঙ্ক ডোমেইন অথরিটি সব সময় নির্ধারণ করতে পারে না।

MOZ এবং বিভিন্ন আরো এসইও কোম্পানি বিভিন্ন ভাবে জানার চেষ্টা চালায় গুগল কিভাবে একটি ওয়েবসাইটকে রেঙ্ক করায় তারি মধ্যে কিছু পরিচিত ফ্যাক্টর যেমন ব্যাকলিংক পদ্ধতি তাছাড়াও বিভিন্ন ম্যাট্রিকস যাচাইয়ের পর বিভিন্ন কোম্পানি 0 থেকে 100 ভিতরে একটি রেজাল্ট প্রদান করে থাকেন।

কিন্তু গুগল এইসব নিয়মের [ডোমেইন অথরিটির বা ব্যাকলিংক ফ্যাক্টর রেঙ্কের প্রধান কারণ] বৈধতা স্বীকার করেনি,কারণ আমরা অনেক সময় দেখেছি বিভিন্ন সাইট কম ডোমেইন অথরিটি নিয়ে গুগলের 0 বা 1 নাম্বার পজিশনে রেঙ্ক করচে কোনো সলিড ব্যাকলিংক প্রোফাইল ছাড়াই।


কিভাবে ডোমেইন অথরিটি চেক করবেন?  [How To Check Domain authority In Bangla ]

উপরে লেখাটি আপনি পড়ে আপনি বুজতে পেরেছেন ডোমেইন অথরিটি কি এবং সেই সঙ্গে আপনি চাইছেন আপনার ওয়েবসাইট ডোমেইন অথরিটি বা স্কোরটাও একবার চেক করে দেখে নিতে।

কিন্তু বুজতে পারছেন না কিভাবে বা কোন টুলস দিয়া চেক করবেন তাহলে বলি মার্কেটে অনেক রকমের টুলস আছে যেগুলি একুরেট বলতে পারে আপনার ওয়েবসাইটর অথরিটি।

এখানে আমি যেই টুলস গুলি আমি বেশিই ব্যাবহার করে থাকি সেগুলি আপনাদের জানাবো এবং অনেক ফেক টুলস আছে সেগুলি সবই MOZ-এর ডাটা ব্যাবহার করে আপনাদের ডাটা দেখায়।



১.MOZ এক্সটেনশন :-

সব থেকে সহজ মনে হয় এটার বাইরে আর একটিও নাই কারণ MOZ তাদের ডোমেইন এনালাইজ টুলসের পপুলারিটি জন্য একটি ফ্রি গুগল CHROME এক্সটেনশন নিয়ে এসেছে।

ডোমেইন অথরিটি  কি ? কিভাবে চেক করবেন এবং বাড়াবেন। [Domain authority In Bangla ]

আপনি শুধু এটা ইনস্টল করুন এবং আপনার SINGUP করুন তার পরেই ঝামেলা থেকে মুক্তি আপনি জাস্ট যেই ওয়েবসাইটের DA বা PA দেখতে চাইছেন সেখানে গিয়ে এক্সটেনশনে ক্লিক করলেই আপনাকে সব ডাটা দেখিয়ে দেবে।

তাছাড়াও, আপনি ম্যানুয়ালি ওয়েবসাইট কপি করে তাদের প্রধান ওয়েবসাইট নিয়ে গিয়ে DA বা PA চেক করতে পারবেন।



২.আরেফস [Ahrefs]:-

আরেফস যারা ব্লোগ্গিং করেন তারাতো নামটা শুনেই থাকবেন কিন্তু তার সঙ্গে এই টুলসটি একটি ভালো ডোমেইন অথরিটি চেকার সঙ্গে আপনাকে এটার জন্য কোনো পয়সা খরচ করতে হয় না।

কিন্তু এটার কোনো এক্সটেনশন নাই তাই আপনাকে ম্যানুয়ালি ব্লগ বা সাইটকে কপি করে সেখানে পেস্ট করতে হবে এবং তার পর তারা এটার ডাটা দেখাবে।

ডোমেইন অথরিটি  কি ? কিভাবে চেক করবেন এবং বাড়াবেন। [Domain authority In Bangla ]



ডোমেইন অথরিটি কিভাবে বাড়াবেন ? [How To Improved Domain authority In Bangla]


ডোমেইন অথরিটি বাড়ানোর আগে আপনাকে জানতে হবে কত দিন অন্তর DA আপডেট করা হয় থাকে, MOZ তথ্য  অনুযায়ী প্রথমে তারা একটি ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংককে RECOGNIZE করেন তার পর এটা ইনডেক্স করার পর প্রত্যেক ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় নিয়ে থাকে।

1.অন পেজ এসইও OPTIMIZATION [ON-PAGE SEO]

অন-পেজ এসইও একটি বিশাল ফ্যাক্টর এবং একটি বিশাল বড়ো বিষয়ও বটে যেটা আমরা খুবই কমই জানি এবং সব সময় নজর দিয়ে থাকি অফ-পেজ এসইও ফ্যাক্টর গুলির উপর।

কিন্তু একটি শক্ত-ভীত সম্পন্ন ব্লগ বা সাইটের জন্ম হয় সঠিক ওন-পেজ এসইও OPTIMIZATION  দিয়ে এটা ডোমেইন অথরিটি বাড়ানোর জন্য খুব কাজ কারী।

সঠিক ভাবে টাইটেল ট্যাগ ,ইমেজ অলটেক্সট এবং পারমা লিংক, প্রধান কীওয়ার্ডটির সঠিক ব্যাবহার ইত্যাদি।



2.ইন্টারনাল লিঙ্কিং।

ইন্টারনাল লিঙ্কিং খুবই গুরুত্ব এখনো ততটাই যতটা আপনি এক্সটার্নাল লিংক নেন কিন্তু অনেক ব্লগার এটাকে বাদ দিয়ে ডুফেললো লিংক নেবার চেষ্টা করে।

ইন্টারনাল লিঙ্কিং এর বেনিফিট গুলি হচ্ছে আপনার যেই পোস্টি রেঙ্ক করছে সেই পোস্টটি একটি নির্দিষ্ট পেজের অন্তর গত তাই এটার একটি নির্দিষ্ট অথরিটি তৈরি হয় একটা পেজ হিসাবে যেটাকে আমরা জানি পেজ অথরিটি হিসাবে।

এবার যদি আপনি এই হাই ভ্যালু পেজটির সঙ্গে আপনার আরো অনেক রিলেভেন্ট পোস্ট লিংক করেন তাহলে সেই পোস্ট গুলি লিংক জুস পাবে এবং রেঙ্ক করতে সাহায্য পাবে।


তারই সঙ্গে আপনার সেই হাই ভ্যালু পেজে যদি ট্রাফিক আসে তারা ইন্টারনাল লিঙ্কিংএর মাধ্যমে এনগেজ থাকবে সহজে অন্য পোস্ট গুলি ট্রাফিক সঙ্গে সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্স করতে পারবে।




৩.খারাপ এবং টক্সিক লিংক গুলি DISAVOW করুন।

DOFLLOW লিংক কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের DA না বাড়ার কারণ হিসেবে আমি যেটা দেখতে পাচ্ছি, কারণ প্রত্যেক ২ থেকে ৩ মাস অন্তর আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক প্রোফাইল গুলি ভালো করে নজরে রাখা উচিত।

আর এটা যদি না করেন তাহলে তিনটে জিনিস আপনি হারাতে পারেন  ১.রেঙ্কিং। ২.পেনাল্টি খাবার ভয়।  ৩.আপনার পপুলারিটি। যেটা আপনি কোনো দিনও চাইবেন না।

আপনি এই সমস্ত লো কোয়ালিটির সাইট গুলি থেকে আসা সমস্ত ব্যাকলিংক গুলি DISAVOW করতে পারেন সঙ্গে এটাও দেখবেন কোনো বট ট্রফিক না সেন্ড করে থাকে ওই সমস্ত লিংক গুলি দিয়ে এগুলিকে রিমুভ করার।




৪.সঠিক টেকনিক্যাল এসইও করুন।

টেকনিকাল এসইও নিয়ে আগেই আমি একটি পোস্ট লিখেছিলাম আপনি চাইলে পড়তে পারেন এখানে
টেকনিকাল এসইও করা হয়ে থাকে আপনার ওয়েবসাইটের রেঙ্ক বাড়ানোর উদ্যেশে সঙ্গে কোন এলিমেন্টস গুলি আপনাকে ওয়েবসাইট বা ব্লগকে বাধা প্রাপ্ত করছে রেঙ্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগুলিও নজর আন্দাজ করা হ্প্য়ে থাকে।

যদি আপনি একবার জানতে পারেন কোন পজিশনে আপনার সাইটের সমস্যা তাহলে আপনি এগুলি সহজে সমাধান করতে সক্ষম হবেন , ধরলাম যদি আপনি সাধারণ টেকনিকাল এসইও গুলি করতে ব্যার্থ হন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট রেঙ্ক করতে বাধার সৃষ্টি হবে।

সাধারণ যে টেকনিকাল সমস্যা গুলি দেখাযায় একটি ব্লগে যেমন ১.সার্চ কনসোল আপনার ব্লগ জমা না দেওয়া
২.সঠিক XML সাইটম্যাপ না সাবমিট করা। ৩.HTTPS প্রটোকল এক্টিভেট না করা। ৪.স্কিমা মার্কআপ না যুক্ত করা আপনার কনটেন্ট এর সঙ্গে।



৫.ওয়েবসাইট স্পিড।

ওয়েবসাইট স্পিড গুগলের ২০০ টি রেঙ্কিং ফ্যাক্টরের মধ্যে একটি ,যত ভালো আপনার ওয়েবসাইট স্পিড ততই ভালো রেঙ্কিং বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সঙ্গে যেসব সাইট খুব স্লো তাদের উপর আপনি একটু হলেও বেনিফিট পাবেন।

ওয়েবসাইট স্পিড বৃদ্ধি শুধুযে আপনার ডোমেইন অথরিটি বাড়বে তা নয় সঙ্গে আপনি রেঙ্কিং বুস্ট পাবেন সঙ্গে ইউসার এক্সপিরিয়েন্স বাড়বে তাতেই আপনি বেশিই উপকৃত হবেন এবং বেশিই সেল করতে পারবেন এবং বেশিই ইনকামও আসবে

কিন্তু শুনতে যতটা সহজ বাস্তবে খুব কঠিন এবং প্রথমেই যেটা দরকার একটি ভালো মানের হোস্টিং এবং অনেক কিছু প্যারামিটার যেমন ছবি বা ইমেজ দেবার সময় কমপ্রেস করে দিন। ইত্যাদি।


৬.মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইট।

মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইট খুব বেশিই ডিপেন্ডস করে থাকে আপনি কেমন কান্ট্রি বেসিসে কনটেন্ট কান্ট্রিবিউট করছেন তবুও আমি বলবো এখন মানুষ PC/LAPTOP এর থেকে বেশিই মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট সার্ফ করতে ভালো বাসে।

এবার আপনার ব্লগ বা সাইট যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয়ে থাকে ঠিক ভাবে তাহলে গুগল যেমন আপনার রেঙ্ক ডাউন করবে তেমনি আপনার সাইটের ইউসার এক্সপিরিয়েন্স কমবে এবং বাউন্স রেট বাড়বে যেটা ডোমেইন অথরিটির জন্য একদম ভালো না কিন্তু সুখবর একটাই এগুলি সব ফিক্স করতে পারবেন।

চেষ্টা করুন ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানোর সঙ্গে মোবাইল ফ্রেন্ডলি টেম্পলেট বা থিম ব্যাবহার করার।


৭.সোশ্যাল সিগন্যাল বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

গুগল এটা কখনোই বলেনি সোশ্যাল সিগন্যাল গুগলের একটি ফ্যাক্টর কিন্তু বাস্তবে হয় ঠিক তার উল্টোটা যখনি আপনার সাইট বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফ্রমে এক্সপোস হয় যেমন লাইক,শেয়ার, কমেন্ট পায় সেই সব পোস্ট গুলি সম্বভনা থাকে সহজে রেঙ্ক হওয়ার।

সোশ্যাল শেয়ার বাড়ানোর জন্য এমন কনটেন্ট লিখুন যেগুলি মানুষ নিজেই শেয়ার বা লাইক বা কমেন্ট করতে থাকে আপনার পুশ ছড়াই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট ডেইলি বেসিসে আপডেট রাখতে হবে আপনার ব্লগে।

যত ভালো আপনি কনটেন্ট লিখবেন ততই সম্বভনা থাকবে আপনার ব্যাকলিংক বাড়ার সঙ্গে আপনার রেঙ্ক এবং ডোমেইন অথরিটি এবং আমরা সবাই জানি ডোমেইন অথরিটির সঙ্গে ব্যাকলিংকের একটু সুস্পষ্ট যোগ আছে।


Load comments