৫টি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করুন: ইউটিউব থেকে আয়ের পদ্ধতি সমূহ।



৫টি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করুন: ইউটিউব থেকে আয়ের পদ্ধতি সমূহ। আপনি ঠিক জায়গায়তে এসেই হাজির কিন্তু তার আগে কিছু ফ্যাক্টস বা সত্যি জেনেনেয়া যাক সমগ্র পৃথিবীতে ৫০০ কোটি ভিডিও প্রত্যেক দিন দেখা হয়ে থাকে এবং একজন এভারেজ ইউসার ৪০ মিনিট পর্যন্ত তার সময় এখানে দিয়ে থাকেন প্রত্যেক দিন।


কিন্তু তাতেকি, ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার আগে আমাদের প্রধান উদেশ্য জানা কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায় এবং কতো গুলি legit উপায় আছে ইনকাম করার তার আগে দরকার একটি চ্যানেল শুরুকরা কিন্তু কিভাবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করে বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং এখন সেটা সম্ভব একটি মোবাইল ব্যবহার করে ভিডিও শট করা এবং ভিডিও এডিটিং করা তার জন্য বিভিন্ন ধরণের এর এন্ড্রোয়েড ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়ার পাওয়া যায়।


এবার আসা যাক কিছু রিয়েল লাইফ উদাহরনের সঙ্গে একজন ৭ বছরের বাচ্ছা ক্রিয়েটর হিসাবে তিনি $২২ মিলিয়ন ইনকাম করছেন একটি Playing Toys নিশ বা সাবজেক্ট চ্যানেল থেকে এবং তিনি বিভিন্ন  নামি দামি খবরের আউটলেটে প্রকাশিত পেয়েছে যেমন BBC বা FORBES ইত্যাদি।


অনেকেই ইউটিউবে ভিডিও বানানো টিকে ছোটো করে দেখেন ,তারা ভাবেন ফেইসবুক বা ইন্সট্রাগ্রাম শুধুমাত্র বেস্ট উপায় সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্স এর জন্য তাহলে  বলি ইউটিউব প্লাটফ্রম টিকে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সিঙ এর বাইরে ধরা হয় না এবং সেই সঙ্গে এটা কিন্তু আপনার ক্যরিয়ার হয়ে উঠতে পারে যদি আপনি সিরিয়াস ভাবে এটায় কাজ করতে পারেন।



৫টি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করুন: ইউটিউব থেকে আয়ের পদ্ধতি সমূহ।

যদি আপনি ভাবছেন ইউটিউব থেকে আয় করার কথা একজন সিঙ্গেল ক্রিয়েটর হিসাবে তাহলে বলবো এটা ১০০% সঠিক কিন্তু, ইউটিউব থেকে আয় করতে গেলে আপনাকে প্রচুর সময় এটার জন্য দিতে হবে কারণ প্রত্যেক মিনিটে সমগ্র পৃথিবী থেকে ৪০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড করা হয়ে থাকে। 


তার জন্যই ইউটিউব থেকে প্রচুর টাকা আয়করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে কম্পেটিটন এর কারণে এবং চ্যালেঞ্জও বটে যদি আপনি এটা ফুলটাইম ক্যরিয়ার হিসাবে বেছে নেন সঙ্গে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম দরকার MONETIZATION নেবার জন্য আপনার নতুন চ্যানেলে , কিন্তু এটায় DISCOURAGE বা হতাশ হবেন না তার মধ্যে দিয়েই প্রচুর লোক হাজার হাজার এবং কেউ কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিয়ে চলে যাচ্ছে।



তাই আমরা এই পর্বে জানবো সব থেকে ৫ টি বেস্ট উপায় যেগুলি ব্যবহার করে খুব কম ভিউ বা ওয়াচ নিয়েও আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।




১.গুগল এডসেন্স এবং ইউটিউব পাটনার হিসাবে। [৫টি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করুন: ইউটিউব থেকে আয়ের পদ্ধতি সমূহ।]


গুগল এডসেন্স এখনো পর্যন্ত বেস্ট সমাধান যারা তাদের YouTube চ্যানেল কে monetize করার কথা ভাবছেন এবং এখানে জানিয়েদি এডসেন্স এখানে বিভিন্ন রকমের নতুন এড্স নিয়ে এসেচে ব্যানার এড্স ভিডিও শুরুর আগে এড্স ইত্যাদি।

তবে, এড্স দেখাতে গেলে যেটা দরকার ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার কিন্তু এটার জন্য কোনো সময় শিমা নির্ধারণ করা নেই তবেই আপনি এডসেন্স এড্স দেখাতে পারবেন তবে YouTube পার্টনার হতে গেলে যেটা দরকার সেটার জন্য প্রচুর আপনাকে ইফোর্ট দিতে হবে।


যখনই আপনি ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম কমপ্লিট করবেন আপনার ভিডিওতে একটি গ্রীন ডলার্স চিহ্ন দেখতে পারবেন তখনি জানবেন আপনার ভিডিও এড্স শো করতে পারবেন তবে আপনি কি জানেন ফেমাস গান গঙ্গাম স্টাইল গানটি ৫ মাস সময় নিয়ে ছিলো ১ বিলিয়ন ভিউ সম্পূর্ণ করতে সেখানে ডেসপাসিত শুধু ৯৭ দিন সময় নিয়েছিলো ১ বিলিয়ন ভিউ কমপ্লিট করতে।

ইউটিউব প্রিমিয়াম নামক একটি সার্ভিস ইউটিউব নতুন দিতে শুরু করেছেন কিন্তু এটা এড্স ফ্রি এবং এটার জন্য একজন ক্রিয়েটর কে ইউটিউব পে করে থাকেন তার ভিউ অনুযায়ী , তবুও এটা এতটা কার্যকরী না একটি সিঙ্গেল স্ট্রিম পয়সা ইনকামের জন্য।






২.এফিলিয়াটে মার্টিং করে বা আমাজান প্রোডাক্ট প্রমোট করে।



এফিলিয়াটে মার্কেটিং এখনো পর্যন্ত অসাধারণ উপায় যখন YOUTUBE থেকে ইনকামের কথা আসে হুম ঠিকই শুনেছেন কিন্তু আপনি ভাবছেন এডসেন্সের থেকেও কার্যকরী তবে বলছি শুনুন হুম এটাই ঠিক এখানে আপনার কারোর থেকে পারমিশন নিতে হবেন না কোনো ওয়াচ টাইম কমপ্লিট করতে হবে না এবং বেশিই ভিউ দরকার নেই শুধু মাত্র যেটা প্রয়োজন কোয়ালিটি পূর্ণ ইনডেপ্থ কনটেন্ট।

একটা উদাহরণ দি আপনি ধরুন ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে ইনস্টল করতে হয় এটা শেখাচ্ছেন বা কিভাবে ব্লোগ্গিং করতে হয় এটা দেখাচ্ছেন এবং যদি আপনি এখানে এফিলিয়াটে লিংক দিয়ে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় বা প্রোডাক্ট প্রমোট করেন যেটা দরকার ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে তাহলে অডিয়েন্স নিশ্চিত উপায়ে প্রোডাক্টটি Try Out করবে এর এখানেই আপনি কিছু কমিশন লাভ করবেন।

আপনি শুধু এফিলিয়াটে লিংকে দিয়ে ভর্তি করলেই হবে না আপনার উপর বিশ্বাস থাকা চাই সঙ্গে আপনাকে জানতে হবে আপনার লিংকের ব্যাপারে তবেই একজন ইউসার এটা কিনবেন।

কিন্তু কিভাবে বিশ্বাস তৈরি করবেন একজন ইউসার এর মধ্যে সেটা নিরর্ভর করছে আপনি কেমন ভাবে একজন ইউসার এর সমস্যা সমাধান করছে সঙ্গে কঠিন থেকে কোটিনও তম সমস্যার সমাধান দিতে থাকুন এবং এটাই হচ্ছে একটি চাবিকাঠি বিশ্বাস তৈরি করার।

এবার আসা যাক কিভাবে পাবেন আপনার নিশ অনুযায়ী একটি ভালো এফিলিয়াটে প্রোগ্রাম তাহলে  বলি এটার জন্য আপনি রিসার্চ করতে পারেন তবে সব রকমেরই এফিলিয়াটে প্রোগ্রাম মার্কেটে পাওয়া যায়। 






৩.অডিয়েন্স ডোনেশন।


অডিয়েন্স ডোনেশন নিয়ে আপনি আপনার চ্যানেল চালাতে পারেন যদি আপনার ভালো লয়াল ফ্যান বেস থাকে যেটা আপনার ভিডিও করতে আরো আগ্রহী বানাবে সঙ্গে এটায় আপনি কিছু আয়ও করে পারবেন।

এটার জন্যই একটি প্লাটফ্রম patreon এর সাহায্য নিতে পারেন যেটি ডোনেশন নেয়া তাকে আরো সহজ করে দিয়েছে যেখানে আপনি আপনার অডিয়েন্স কে রিকোয়েস্ট করতে পারেন $১ পর্যন্ত ডোনেশন করার জন্য এবং তারা যদি আপনার চ্যানেল কে ভালো বেসে থাকেন তাহলে তারা অবশই আপনাকে ডোনেট করবেন।

এটার যদি আপনি monetization শুরু করার পরেও করেন তাহলে কোনো সমস্যা নেই প্রধান উদেশ্য যেটা থাকে সুন্দর সুন্দর পপরিবেশন করা।


৪.YOUTUBE চ্যানেল বিক্রি করে।



আপনি YouTube চ্যানেল শুরু করতে পারেন কিন্তু সেটাই যদি আপনি বিক্রি করেন তাহলে প্রচুর প্রফিট জেনারেট করতে পারবেন এটার জন্যই দরকার সঠিক প্রসেস ও কৌশল কিন্তু কিভাবে।

আসুন দেখা যাক আপনার দরকার একটি সঠিক নিচ যেটা অনুযায়ী আপনি একটি চ্যানেল বানালেন এবং সেটাই আপনি কনটেন্ট আপডেট করছেন এবং monetize পাবার পর আপনি এটাকে ভালো দামে সেল করতে পারেন যদি এটা ভালো মানের অডিয়েন্স থাকে।

তাছাড়া, যদি এটা কোনো এফিলিয়াটে মার্কেটিং চ্যানেল হয়ে থাকে তাহলে আপনি আরো বেশি দামে সেল করতে সক্ষম হবেন।





৫.YOUTUBE এর SEO করে।



অনেকেই আজ নতুন চ্যানেল শুরু করেছেন কিন্তু সবাই জানেন না কিভাবে YouTube SEO করতে হয় তাহলে তাদের বলছি এমন যারা জানেন তাদের পরামর্শ নিন বানিজে চেষ্টা করুন SEO করার।

বা যদি আপনি একজন এক্সপার্ট হয়ে থাকেন YOUTUBE SEO করার জন্য তাহলে আপনি প্রচুর আয় করতে পারবেন যারা নতুন চ্যানেল শুরু করেছেন তাদের চ্যানেল গ্রও করতে যদি আপনি সাহায্য করেন।

অনেকই ভিডিও টাইটেল বা ডেসক্রিপশন ঠিক করে যুক্ত করেন না যার ফলস্বরূপ তাদের ভিডিও সঠিক অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছেতে পারে না তাই ঠিক ভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন সঠিক ডেস্কিপশন যুক্ত করুন যারা আপনার ভিডিও দেখছেন তাদের ENCOURAGE করুন একটি করে কমেন্ট করা জন্য বা লাইক করার জন্য।
Video-Seo: youTube Ranking Factors infographic (by Martin Missfeldt)
Credit- tagseoblog.com





Load comments