ব্লগ লিখে আয় করার সহজ ১০ টি উপায় : 10 Best Way To Earn Money From Blogging In Bangla.

ব্লগ লিখে আয় করার সহজ ১০ টি উপায়

ব্লগ লিখে আয় করার সহজ ১০ টি উপায় : 10 Best Way To Earn Money From Blogging In Bangla. নতুন ব্লগ শুরু করতে চাইছেন কিন্তু একটু চিন্তিতো কিভাবে পরবর্তীতে আপনি আপনার ব্লগ টিকে মনিটাইজ বা ব্যবহার করে পয়সা আয় করবেন এবং শুধুমাত্র আপনি না এই মুহূর্তে সব থেকে বেশিই সার্চ হওয়া একটি কীওয়ার্ড যেটিই ব্লগার সার্চ করতে থাকেন সমগ্র তথা সারা এশিয়ার মানুষ জন।

অনেকই নতুন ব্লগাররা দিসে হারা হয়েযান কিভাবে পয়সা আয় করবে তাদের ব্লগ ব্যবহার করে তাই এই পোস্টে আমি তাদের জানাবো কিভাবে ১০ টি প্রাকটিক্যাল উপায়ে আয় করবেন ইন্টারনেট থেকে যেগুলি শুধু মাত্র খুব প্রচলিতো তাই না কিছুটা খুব সহজও।

SO! কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরুকরা যাক যারা খুব কম মাত্রায় ইনকাম করছেন তারাও এই উপায় গুলি ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।


ব্লগ লিখে আয় করার সহজ ১০ টি উপায় : 10 Best Way To Earn Money From Blogging In Bangla.



১. গুগল এডসেন্স- [ ব্লগ লিখে আয় করার সহজ ১০ টি উপায় ]

ইন্টেরনেটের এখনো পর্যন্ত ৯০%  ব্লগার এডসেন্স ব্যবহার করে তাদের ব্লগ থেকে মাসে কয়েক হাজার থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন, সত্যি বলতে আমিও এটার জন্যই চেষ্টা করছি এবং শুধু আমি না আমার মতো কয়েক হাজার ব্লগার তাদের ব্লগার্সএ এডসেন্স বসিয়ে আয় করতে চাইছে।

সব থেকে একটি জনপ্রিয় মাধ্যমও বলতে পারেন কারণ এখানে কোনো সমস্যা নেই প্রোডাক্ট বিকি করা বা প্রমোট করা শুধুমাত্র একটি কাজ ভালো ভালো ইউসফুল কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে রিডার বা ইউসারকে আকর্ষণ করুন আপনার ব্লগ পড়ার জন্য

অনেক ব্লগার আছেন যারা এডসেন্সের এডস ব্যাবহার করতে চাননা কারণ তারা বিশ্বাস করেন না এডসেন্স ভালো উপায় না তাদের ব্লগের জন্য শুধু এফিলিয়াটে মার্কেটিংএ বিশ্বাস করেন তাদের বলি এডসেন্স যদি ঠিক করে কাজ করতে পারেন সঙ্গে সঠিক এড্স প্লেস করতে পারেন তাহলে আপনার ৫০০% এক্সট্রা ইনকাম হবার সম্ভবনা থাকে।



২.এফিলিয়াটে মার্কেটিং- [ 10 Best Way To Earn Money From Blogging In Bangla ]

সব থেকে বহুল চর্চিত একটি উপায় যদি আপনি না জানেন এটা কি তাহলে বলি এটা পড়ুনফিলিয়াটে মার্কেটিং আসল পয়সাতো এখানেই যারা জানেন না তাদের বলি আপনি অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে যে কমিশনটা পান সেটা কেই বলে এফিলিয়াটে মার্কেটিং।

ইন্টারনেটের ৭০% আয় এটার মাধমেই করতে থাকেন এবং শুধুমাত্র ২০% ব্লগারা ,তাদেরই আমরা বলি সুপার এফিলিয়াটের, এটা বলতে বা লিখতে যতটা সহজ কিন্রু বাস্তবে ততটাই কঠিন আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন ধরনের ব্লগ বা নিশ নিয়ে কাজ করছেন এবং এটার উপযুক্ত এফিলিয়াটে প্রোগ্রাম তবেই এই সেক্টরে সফল হবার সম্ভনা বেশি সেই সঙ্গেও আপনাকে জানতে হবে কিভাবে প্রোডাক্ট প্রমোট করতে হয়।

যদি আপনি ঠিক এফিলিতে প্রোগ্রাম চয়েস করেন তাহলে মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর প্রচুর ইনকাম করতে সক্ষম হবেন তবে এখানে আপনার প্রচুর ট্রাফিক প্রয়োজন দরকার নেই শুধু মাত্র দরকার সঠিক ক্রেতা যে আপনার থেকে আপনার প্রোডাক্ট কিনবে।

আপনি এখানে আপনার প্রমোট করতে পারেন ফেইসবুক বা গুগলে এড্স চালাতে পারেন।




৩.কনসাল্টেন্ট এর মাধ্যমে-

কনসাল্টেন্ট মাধ্যমটি একটি সহজ উপায় কিন্তু খুব কঠিন আবার কারণ আপনি সহজে কাউকে কনসাল্টেন্ট করতে পারবেননা।

একটি কনসাল্টেন্ট হবার জন্য দরকার সঠিক এক্সপিরিয়েন্স একটি সঠিক বিষয়ের উপর যেমন আপনি জানেন কিভাবে বই লিখতে হয় তাই আপনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ তাই আপনি এই বিষয়ে কনসাল্টেন্ট করতে পারেন অন্যদের কিভাবে একটি সুন্দর বই লিখতে হয়।

Blogging From Paradise এমনি একটি ব্লগ যিনি অফার করেন কিভাবে সেফ ব্লোগ্গিং করবেন এবং সুন্দর সুন্দর ব্লগ পোস্ট লিখবেন তাছাড়া কিভাবে একটি ব্লগকে মার্কেটিং করবেন সঙ্গে কিভাবে একটি ব্লগকে আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ড বানাবেন এই সব কৌশল তিনি শেয়ার করে থাকেন।



৪.পেইড রিভিউর মাধ্যমে-

পেইড রিভিউ একটি অসাধরণ উপায় এবং এখানে কোম্পানি আপনাকে ডাইরেক্ট পিচ করে থাকেন তাদের নির্দিষ্ট কোনো প্রোডাক্ট এর জন্য রিভিউ লেখার

আপনি জানতে চাইবেন কিভাবে কোম্পানি আপনাকে এপ্রচ করবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার ব্লগের পপুলারিটি উপর যদি আপনার ব্র্যান্ড মানে আপনার ব্লগ খুব পরিচিতি পায় তাহলে পেইড রিভিউ পাওয়ার জন্য কোনো অসুবিধা হয়না।

এখানে আপনি কোম্পানিকে ম্যানেজ করে রিভিউ লিখে সঙ্গে আপনার দেওয়া রিভিউর মাধমে সেল হওয়ায় প্রোডাক্ট এর কিছু কমিশন রাখতে পারেন এভাবে আপনি আপনার ব্লগ ব্যবহার করে lifelong আয় করতে পারেন

কিন্তু এটাও মনে রাখবেন এমন কিছু খারাপ প্রোডাক্ট রিভিউ করবেন না শুধু পয়সার জন্য যেটা আপনার রেপুটেশন খারাপ করে কারণ , আপনার রিডার প্রোডাক্টটি কেনা এবং ব্যবহার করার পর অবশই তাদের মতামত জানাবে যদি প্রোডাক্টটি গুণগত মান খারাপ হয় এটায় আপনার ব্র্যান্ড রেপুটেশনে প্রভাব ফেলবে




৫.নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি-

আপনি জানেন আপনি নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন ? তাও আবার আপনার ব্লগ ব্যবহার করে যেখান আপনার প্রফিট মার্জিন কারোর সঙ্গে শেয়ার করতে হবে না

কিন্তু নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে গেলে আগে জানতে হবে আপনার বাস্তবে কতো অডিয়েন্স এবং তাদের চাহিদা ধরুন আপনার ১০০০ টোটাল অডিয়েন্স মান্থলি যদি আপনি ২০০ জন কে আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন $৫ মূল্যের তাহলে মাসের শেষে আপনার ইনকাম হচ্ছে ২০০ * $৫ = $১০০০ তাহলে বুজতে পাচ্ছেন কতো পয়সা আপনি আয় করতে পারবেন

কিন্তু একটি নিজের প্রোডাক্ট তৈরিতে গেলে দরকার মার্কেট এক্সপিরিয়েন্স যেটার ভিত্তি করে আপনি একটি আপনার প্রোডাক্ট বানাবেন যেমন একটি উদাহরণ প্রো ব্লগারের owner এর ৭ বছর লেগে ছিলো একটি বই লিখতে এবং যেটা দরকার আগে আপনার একটি সঠিক অডিয়েন্স বেস তাও অনেকেই প্রোডাক্ট ডেভোলপ করতেই পারে না তবে আমি জানাবো ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট তৈরি করার থেকে নিজের eBook বা কোর্স তৈরিতে মনযোগ দিন এটাই ভালো হবে।



৬.এড্স স্পেস বিক্রি করে -

আপনার সাইট বা ব্লগ লিখতে ভালো বাসেন এবং আপনার ব্লগ এবং কনটেন্ট পড়তে প্রচুর অডিয়েন্স ভিড়জমায় তবুও আপনি এডসেন্স এর অনুমোদন পাচ্ছেননা তাছাড়াও আপনিও চাইছেনা এফিলিয়াটে মার্কেটিং করতে আপনার ব্লগ ব্যবহার করে তাহলে একটি উপায় আছে।

যদি আপনার ব্লগে প্রচুর অডিয়েন্স আসছে তাহলে আপনি কোনো একটি জায়গা আপনার ব্লগের বিক্রি করতে পারেন এড্স দেখানোর জন্য ভাবছেন কিভাবে আয় করবেন তাহলে এটা পড়ুন।
এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলি আপনাকে সরাসরি সাহায্য করতে পারে যেমন buysellads এবং blogads আমি যেদুটি সাইট সব থেকে বেশীই মনোযোগ দিয়ে থাকি এ দুটি সাইট খুব বিশস্ত সঙ্গে আপনিও নিজে একটি এডভার্টাইজ উইথ আস নামক একটি পেজ তৈরি করতে পারেন যেখান আপনার একটি মাসের ট্রাফিক এনালিটিক্স শো করাতে পারেন যাতে কোনো ব্র্যান্ড সহজে আপনাকে এপ্রচ করতে পারে

এড্স স্পেস বিক্রি একটি ফিক্সড ইনকামের উপায় যেখান আপনার কোনো ব্লগ যদি $৫০০ আয় করতে পারে তাহলে সেটার জন্য ম্যাক্সিমাম $৩০০০-$৪০০০ চার্জ করতে পারেন।



৭.পেইড কনটেন্ট লিখে-

পেইড কনটেন্ট লিখেও আপনি ভালো মানের আয় জেনারেট করতে পারেন , যদি আপনি জানেন আপনার কনটেন্ট খুব মূল্যবান হয়ে থাকে এবং আজ কাল প্রচুর ব্লগাররা এটা করে থাকে তারা নিজেরদের লেখা কনটেন্ট পড়ার জন্য মান্থলি বা ইয়ারলি পয়সা চার্জ করেন নিচে একটি উদাহরণ দিলাম

ব্লগ লিখে আয় করার সহজ ১০ টি উপায়
আপনি যদি জানেন আপনার কনটেন্ট খুব মূল্যবান যেমন কেস স্টাডি জাতীয় বা বিশেষ কিছু অনুমোদন তাহলে আপনি পেইড মেম্বার্স শিপ করে lifelong আয় করতে সক্ষম।


৮.ডোনেশন নিয়ে -

ডোনেশন নিয়েও আপনি আয় করতে পারেন কিন্তু সেটা করতে গেলে আপনার যেটা দরকার প্রচুর তাগড়া কনটেন্ট কোয়ালিটি যেটার উপর ভিত্তি করে আপনার অডিয়েন্স আপনাকে pay করবে।

কারণ তারাও চাইবে না যখন আপনি এতো সুন্দর কনটেন্ট বানাচ্ছেন এটা এতো সহজে বন্ধ হয়ে যাক তাই আপনি একটি Paypal একাউন্ট এখানে লিংক আউট করতে পারেন যাতে কেউ আপনাকে কেউ ডোনেট করতে পারে।



৯.ওয়েবসাইট ফ্লিইপিং-

Website Flipping অনেকেই নাম টা  শুনে ছেন যারা  আমাজান এফিলিয়াটে মার্কেটিং করেন ওয়েবসাইট ফ্লিইপিং আর কিছু নয় সাইট কেনা বা বিক্রি করা নিলামের মাধ্যমে আপনি একটি সাইট বা ব্লগ বানালেন তার পর সেটার জন্য আপনি প্রচুর ইফোর্ট সঙ্গে টাইম বা সময় দিচ্ছেন কিন্তু আপনি সেটা বিক্রি করতে পারেন এবং যত সময় বা ইনভেস্টমেন্ট করেছেন এটার জন্য তার ৫ গুন্ বা ১০ গুন্ টাকা চার্জ করতে পারেন।

কিন্তু কোথায় বিক্রি করবেন  Flippa, WebsiteBroker,নামক কিছু সাইট আছে যেখান আপনি এটার বিকি করতে পারেন যদি আপনি $১০০ দিয়ে একটি সাইট তৈরি করেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং নিশ (niches) অনুযায়ী এটার দাম $৫০০০ বা $১০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। 




১০.আমাজন এসোসিয়েট-

আমজন এফিলিয়াটে বা এসোসিয়াটে নামটা খুব প্রচিলিত কারণ এখনো পর্যন্ত এটার ব্যবহার করে মানুষ লক্ষ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করছেন সমগ্র প্রথিবীতে

সবথেকে বিশস্ত একটি উপায়ও বটে আপনি আপনার সাইটে আমাজনের এড্স লাগাতে পারেন যখন কোনো মানুষ আপনার সাইট থেকে আমাজনের লিংক ব্যবহার করে কিছু কিনলে সেটার কমিশন আপনি পাবেন

আপনি আরো সহজে ইউসারদের ইনফ্লুয়েন্স করতে পারবেন কোনো কিছু কেনার জন্য বর্তমানে কিছু প্লাগিন-এর ব্যবহার করে কিভাবে যখন কোনো ইউসার আমাজনে ভিসিট করার পর শুধুমাত্র তাৎপর্য পূর্ণ প্রোডাক্ট গুলি আপনার ব্লগে শো করবে কারণ ইউসাররা যে জিনিসটি পছন্দ সেই জিনিসটি এখানে পাবেন আপনার ব্লগে এড্স এর মাধ্যমে।                   



Load comments