কিভাবে অন পেজ এসিও করবেন :অনপেজ এসিও কৌশল গাইড। [On-Page SEO Tutorial In Bangla]

কিভাবে অন পেজ এসিও করবেন  :অনপেজ এসিও কৌশল গাইড।
কিভাবে অন পেজ এসিও করবেন?



কিভাবে অন পেজ এসিও করবেন:অনপেজ এসিও কৌশল গাইড। (On-Page SEO Tutorial In Bangla)


অনেকই অনেক সময় খুবই সমস্যা পড়েন তাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ে কিভাব অন পেজ এসিও করবেন এবং তাদের সমস্যার সমাধান ইন্টারনেটে বাংলায় কোনো ভালো মানের গাইড নেই বললেই চলে।

আজ আমি আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে  স্টেপ বাই স্টেপ বোঝানোর চেষ্টা করবো কিভাবে অন পেজ এসিও(on-page seo) মাধ্যমে আপনার প্রতিদ্বন্দীকে ছিটকে দেবেন রেঙ্ক থেকে এবং আপনি সেই স্থান দখল করবেন।


গুগল এখন খুব চালাক আপনার প্রত্যেকটি প্রদক্ষেপ খুব ধীরে ফেলতে হবে না হলেই আপনি রেঙ্ক থেকে ছিটকে যেতে পারেন,কারণ আপনি জানেননা গুগলের 200 বেশি রেঙ্কিং বৈশিষ্ট্য বা ফ্যাক্টর আছে যেটার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটিকে মাপা হয় পরিমাপ করা হয় আপনি তাদের কতো গুলি রেঙ্ক বৈশিষ্ট্য ফলোও করছেন।


কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা হতে পারে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হবার আগে থেকেই ইন্টারনেটে রাজত্ব করে চলেছে, কিন্তু এটার মানে এই নয় তারাই রাজত্ব করবে যদি আপনি সঠিক ভাবে অন পেজ এসিও করেন তাহলে আপনার ব্লগও তাদেরকে রেঙ্ক থেকে ছিটকে ফেলে দিতে পারে এটা সম্ভব।

তাহলে চলুন শুরুকরা যাক,আপনি রেডি?







অন পেজ এসিও vs অফ পেজ এসিও।[On-Page SEO Tutorial In Bangla]


অন-পেজ এসিও কি? [What Is On-Page SEO]

যখন আপনি নিজে আপনার ব্লগের সমস্তটা ঠিক করেন হতে পারে সেটা কোনো কনটেন্ট, পোস্ট, ডিজান,গতি বা কোনো কোডিইং গুগলে উচ্চতম স্থান পাবার জন্য আপনার পছন্দের কীওয়ার্ডটি সেটাকেই অন পেজ এসিও বলি।


অফ-পেজ এসিও কি? [What Is OFF-Page SEO]

এটা সমস্তটাই যুক্ত বাইরে থেকে আসা সবকিছু আপনার ব্লগের দিকে, যেসব পসিটিভ সিগন্যাল প্রদান করে যেমন ব্যাকলিংক গুগলে উচ্চতম স্থান পাবার জন্য সেটাকেই অফ পেজ এসিও বলে।


এর আগে আমি অনেক ব্লগে কাজ করেছি নিজের বা কোনো অন্য কারোর যেসব ব্লগগুলি অন পেজ এসিও সমস্যা ছিলো সেগুলিকে খুব সহজেই সমাধান করেদিতাম।

কারণ,এগুলি আপনি নিজেই আপনার ব্লগে থাকা বিভিন্ন ধরণের টুলস বা প্লাগিনের মাধ্যমে ঠিক করতে পড়ব।

কিন্তু যতো সমস্যা হতো অফ পেজ এসিও সমস্যার সমাধান করা, এটা সমস্তটা নির্ভরশীল আপনার ব্লগের বাইরে থেকে যেমন ব্যাকলিংক নেওয়া যেটা কঠিন ও প্রচুর সময় ব্যায় ও ধৈর্য প্রয়োজন।


ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইটে যাদের প্রচুর ব্যাকলিংক আছে বলতে পারেন কয়েক লাখ কিন্তু তারাও অনেক সময় ভালো ট্রাফিক পায়না কারণ তাদের সাধারণ সমস্যা অন পেজ এসিও নিয়ে।

যদি তারা এই সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলে তাদের ব্লগ গুলি ভালো জায়গায় রেঙ্ক করতে পারে।


চলুন দেখি ব্যাবহারকারী উদ্দেশ্য সার্চ ইন্টেন্ট(search intent)


গুগল দিনের সঙ্গে খুবি চালাক হচ্ছে কারণ তারা ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য খুব ভালো করেই জানে যখন তারা ইন্টারনেটে সার্চ করে।

আপনি কোনো একটি বস্তু সার্চ করছেন যেমন "স্যামসাঙ মোবাইল ফোন 10000 মধ্যে" এটাকে বলে কমার্শিয়াল কীওয়ার্ড (commercial keywords)

ধরুন,আপনি একটি কনটেন্ট লিখেছেন যেমন "কোনটি ভালো ফোন 2019" এটাকে বলে ইনফরমেশেনাল কীওয়ার্ড (informational keywords)

আমি গুগলে খুজলাম  "স্যামসাঙ মোবাইল ফোন 10000 মধ্যে" ঘটনা এখানোই যখন আপনি চেষ্টা করছেন ওই কমার্শিয়াল কীওয়ার্ডর (commercial keywords) পরিবর্তে আপনার ইনফরমেশেনাল কীওয়ার্ড (informational keywords) "কোনটি ভালো ফোন 2019" রেঙ্ক করাতে চাইছেন
তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করেন না কোনো আপনার কীওয়ার্ডটি রেঙ্ক করবে না। আর যদিও করে সেটা বেশি দিনের জন্যনা কারণ পোস্টটি তাৎপর্য পূর্ণ না ওই সার্চ উদ্দেশ্যের জন্য।


এখানোই আপনার ব্লগের প্রয়োজন গুরুত্ব সহকারো অন পেজ এসিও করা যখনই আপনি চাইছেন আপনার পেস্টে (commercial + informational) দুই রকমের keywords রেঙ্ক করাতে তাহলে আপনার কনটেন্টের মানও হওয়া চাই উচ্চতর যেখানে কোনো ব্যবহারকারি ফাঁকা হাতেনা ফিরে যায়,আর যদি আপনি তাদের একটি উদ্দেশ্য পূরণনা করতে পারেন তাহলে এটা গুগলের কাছে নেগেটিভ সিগন্যাল পৌঁছে দেবে,তাই কোনো কনটেন্ট লেখার আগে এটা একবার ভেবেনিন একটি ব্যবহারকারি কি উদ্দেশ্যে সার্চ করেছেন।

যখনই আমি কোনো কনটেন্ট লিখি তার আগে আমি ভালো করে সেই কীওয়ার্ডটি গুগলে সার্চ করে দেখেনি সেই কীওয়ার্ডটির জন্য কোন ধরণের কনটেন্ট রেঙ্ক করছে এবং তাদের সমতুল্য বা তাদের থেকেও ভালো ইনডেপথ কনটেন্ট লিখি।


যখন আপনি এটা বুঝে যাবেন সবটা আপনিও আরো ভালো কনটেন্ট লিখতে পারবেন।


মাঝে মধ্যেই আমি দেখি অনেক ওয়েবসাইট অনেক ব্যাকলিংক হবার সত্বেও তারা 1 রেঙ্ক করছেনা বা মেন কীওয়ার্ড টি টাইটেল ছাড়া সমস্তই পোস্টে আর খুঁজেই পাওয়া যায়না, আপনি তাদের আউট রেঙ্ক করতে পারবেন যদি আপনি অন পেজ এসিও জানেন সবটা।




টাইটেল ট্যাগ মধ্যে আপনার প্রধান কীওয়ার্ড:-


কোনো একটি কীওয়ার্ডের উপর আপনি কনটেন্ট লিখলে অবশ্যই প্রধান কীওয়ার্ডটি আপনার ব্লগের টাইটেলে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।



টাইটেল ট্যাগে শব্দের পরিমান:-


টাইটেল ট্যাগটি একটু বড়ো করে রাখার চেষ্টা করবেন, আবার যদি খুব বড়ো করেন তাহলে গুগলে কেটে ছোটো করে দেবে,এটা সমস্তটাই নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের গ্যাজেট ব্যবহার করছেন, কিন্তু 60 থেকে 70টি শব্দ আপনার টাইটেল ট্যাগ ব্যাবহার করতে পারেন।





অপ্টিমাইজ করুন আরো অন্য কীওয়ার্ডর জন্য যেগুলি মেন কীওয়ার্ডর সঙ্গে যুক্ত:-


যদি আপনি দেখছেন আপনার মেন কীওয়ার্ডটি খুব কম্পেটিশন আছে তাহেল তার সঙ্গে যুক্ত আরো অন্য কীওয়ার্ডটির কম্পেটিশন কম তাহলে সেগুলি কেও সঙ্গে নিন এবং একটি ন্যাচারাল কনটেন্ট লিখুন, তাহলে মেন কীওয়ার্ডটির পাশাপাশি আপনার রিলেটেড কীওয়ার্ড গুলিও রেঙ্ক হবে


যখনই কোনো কনটেন্ট লিখছেন মাথায় রাখবেন (long-tail keywords) গুলি আগে খোঁজার চেষ্টা করবেন কারণ এগুলি বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসার সম্ভবনা থাকে।



নজর কাড়ার মতো মেটা ডেসক্রিপশন টি লিখুন:-


যখনই আপনি কোনো কিছু সার্চ করবেন প্রথমে টাইটেল ট্যাগ মেন কীওয়ার্ড আসে তার পর কিছু শব্দ আসে আপনার কীওয়ার্ড কিনিয়ে লেখা সেটাই একটু ছোট করে বর্ণনা করা থাকে,মেটা ডেসক্রিপশন কোনো রেঙ্কিংর কারণ না তবুও এটা আপনার ব্লগের (CTR) বাড়াতে সাহায্য করে অনেক বেশি।


যখনই কোনো মেটা ডেসক্রিপশন লিখবেন ব্যবহারকারির জন্য মেটা ডেসক্রিপশনটি প্রচুর সময় নিয়ে লিখুন যেমন এডস ডেসক্রিপশন লিখেন,তাদের কারণ দেখান কোনো তারা আপনার পোস্টটি অন করে আর অন্যগুলি না,যেটা আপনার (CTR) কে অনেক গুন পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করবে।



ইউআরএল (URL) সাধারণ ও ছোটো রাখুন:-

ছোট রাখার কারণ,এটা শুধু একটি মাত্র ।মেন
কীওয়ার্ডটি থাকবে সঙ্গে আরো কিছু না,অনেক বড়ো করে লিখতে যাবেন না।



হেডার ট্যাগের ব্যবহার:-

যদি আপনি ব্লগার ব্যবহার করেন তাহলে আপনি জানেন আপনারআর প্রয়োজন নেই(H1) ট্যাগ দেবার,আর যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তাহলে এখনি yoast বা rank math নামক সিইও প্লাগিনটি ইনস্টল করে নিন আর ঝামেলা শেষ, তাছাড়াও আপনি চেঞ্জ করতে পারেন ম্যানুয়ালি।

এছাড়াও জায়গা মতো H2,H3,H4,H5, H6 ট্যাগ ব্যবহার করুন।

আমি নিজ H3 নিচে আর কোনো ট্যাগ ব্যবহার করিনা।হেডার ট্যাগ বা পয়েন্ট করার কারণ আপনার ব্যবহার কারীর জন্য একটি আলাদা অভিজ্ঞতা তৈরি করা,যেটা তাদের খুব সহজেই বুজতে সাহায্য করবে।





কিছু জিনিস নোট করুন-

1. শুদু একবার h1 ট্যাগ বা পয়েন্ট ব্যবহার করুন একটি কনটেন্টর মধ্যে।
2.সবসময় H1 ব্যবহার করুন,এটার পরেই H4 ট্যাগ ব্যবহার করবেন না,ধাপে হিসাবে ব্যবহার করুন।
3.কন্টের ট্যাগ দেওয়া জরুরী কিন্তু,মাথার পয়েন্টটি H1ট্যাগের হবে।






কীওয়ার্ড ডেনসিটি:-

কীওয়ার্ড ডেনসিটি একটি খুবই ভাইটাল কাজ কারণ, এটা এখন আর কাজ করেনা, আমি অনেকই দেখেছি কীওয়ার্ড প্রচুর মাত্রয় ব্যবহার করতে, যেখানে সুযোগ পায় মেন কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করে,একটা সময় ছিলো যখন আপনি খুব সহজেই মেন কীওয়ার্ডটি কন্টেন্টের মধ্যে অনেক বার ব্যবহার করে রেঙ্ক করাতে পারতেন, কিন্তু হামিংবার্ড নামক একটি বোট আসার পর আপনার এটা প্রয়োজন নেই কীওয়ার্ড স্টাফিং করার।

যদি আপনার কীওয়ার্ড ডেনসিটি প্রচুর হয় মানে 1000 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 10 থেকে 15 বার ব্যবহার করছেন প্রধান কীওয়ার্ডটি,তাহলে এটাকে 1 বা 2 বার ব্যবহার করুন।




ছবি ব্যবহার ও ছবির মধ্যেকার আলটেক্সট:-

ছবি ব্যাবহারের কারণ আপনি আপনার দর্শকদের একটি আলাদা অভিজ্ঞতা তৈরি করবেন পোস্টটি পড়ার সঙ্গে,এটা অনেক সময় আপনার ওয়েবসাইটের এনগেজমেন্ট টাইম অনেকটাই উন্নতি হয়, শুধু ছবি ব্যবহার করলেই হবেনা,সঙ্গে ছবি টাও অপ্টিমাইজ করতে হবে সার্চের জন্য আলটেক্সট সংযুক্তিকরনের মাধম্যে এবং অবশ্যই আপনার প্রধান কীওয়ার্ডটি আলটেক্সট বসাতে ভুলবেন না।

কখনো আপনি একটি ব্লগের মধ্যে হতে পারে একটির বদলে অনেক ছবি ব্যবহার করতে পারেন তখন প্রধান কীওয়ার্ডটি বার, বার ব্যবহার না করে (lsi) কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।




প্রথমেই মেন কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন:-


আপনি যদি উইকিপিডিয়ার কনটেন্ট দেখেন তাহলে বুজবেন তারা প্রথমেই মেন কীওয়াড়টি ব্যবহার করে সেটাকে বোল্ড করে দেয়,ভালো রেঙ্ক করার জন্য মেন কীওয়ার্ডটি লেখার শুরুতেই ব্যবহার করুন।



কনটেন্ট পরিপূর্ণ ভাবে বড়ো করে লিখুন:-

বড়ো কনটেন্ট গুলি রেঙ্ক করে সবার থেকে ভালো কারণ ব্যবহারকরি একটি পোস্টই সমস্ত কিছু খুঁজে পেয়েযায়। Moz ও buzzsumo একটি তথ্যে বলা হচ্ছে যেসব কনটেন্ট নির্মাতা তাদের পোস্ট খুব পরিপূর্ণ ভাবে লেখেন তাদের আর্টিকেল গুলি খুব বেশি ব্যাকলিংক ও শেয়ার পাবার সম্ভবনা থাকে।


SerplQ একটি গবেষণা করেছেন 20,000 কীওয়াডের উপর এবং তারা জানাচ্ছে প্রথম 10 যারা রেঙ্ক করছেন বেশিরভাগ কীওয়ার্ডএ সবার শব্দের পরিমান 1800-2000 মধ্যে।
কিভাবে অন পেজ এসিও করবেন  :অনপেজ এসিও কৌশল গাইড।
Serpiq rank factor




ডিপ লিঙ্কিং করা:-

কনটেন্ট লেখার সময় এটা অবশই মনে রাখবেন একটি পোস্টের সঙ্গে আপনার পুরোনো লিংক গুলো জুড়েদিন যাতে কোনো ব্যাবহারকারী আপনার ব্লগ পোস্টটি পড়ে শেষ না করতে পারে,যাতে মনে না হয় কোনো ব্যাবহারকারির যে আপনার কনটেন্ট শেষ তার পর আর অন্য কনটেন্ট যাবার রাস্তা নেই।


একটি সফল ব্লগ তৈরি করতে গেলে আপনার ডিপ লিঙ্কিং প্রয়োজন সমস্ত ব্লগের মধ্যে, চেস্টা করুন আপনার ব্লগের লিংক গুলি ছড়িয়ে দিন সমস্ত ব্লগের মধ্যে।

শুধুমাত্র আপনার হোমপেজটি লিংক করবেননা, আপনার পুরোনো পোস্ট গুলি লিংক দিন, যেগুলি তাৎপর্য পূর্ণ।

নতুন ব্লগারা বুজতে পারেননা, কোনো একটি পেজ সঙ্গে অন্য পেজের লিংক করলে রেঙ্ক বৃদ্ধিপায়।

যখনই আপনার একটি পেজ রেঙ্ক করছে তার ট্রাফিক আপনি ডাইভার্ট করে অন্য পোস্ট পাঠালে আপনার ব্লগের উপর একটি বিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের।

সেই জন্যই বড়ো ব্লগাররা পয়সা খরচ করে কোনো একটি পোস্ট রেঙ্ক করাতে চায়, সঙ্গে আরো অন্য পেজে গুলিও ট্রাফিক ফ্লোও পায়,এগুলি আপনার ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধি পায়।




অন্যদের লিংক করা:-

যখনই আপনি কোনো পোস্ট লিখছেন সমস্ত তথ্য যেখান থেকে আউটসোর্স করে ছেন সেগুলি পয়েন্ট করুন।


অন্যদের লিংক করা মানে আপনার সাইটের ইউসার এক্সপিরিয়েন্স বাড়ানো এটাতে আপনার কোনো রেঙ্ক হারানোর সম্ভবনা নেই, পরিবর্তে আপনার কনটেন্ট বিশাসযোগ ও অসাধারণ করেতুলবে।


আপনি এখনো উইকিপিডিয়া কথাই চিন্তা করুন তারা প্রচুর অন্যদের লিংক শেয়ার করে তাই তাদের অথরিটি আকাশ ছোয়া, কারণ তারা স্বার্থপর নয় কনটেন্ট লেখার সময় অন্যদের লিংক করে।


ব্যাবহারকারির মনে না হয় আপনার কাছেই ইন্টারনেটের সমস্তটা শেষ, পরিবর্তে আউট বাউন্ড লিংক দিন নিজের রেঙ্ক বাড়ানোর জন্য এবং ডুফলো লিংক দিন, নফললো দিবেন না।




পেজের স্পিড:-

পেজের স্পিড একটি অনপেজ সিইও ফ্যাক্টর, যখন আপনার ব্লগের স্পিড খুব ভালো হবে তবেই আপনি উপরের উপকার গুলি পেতে পারেন নচেৎ না, ব্যাবহারকারী কোনো মতেই 6-8 সেকেণ্ডর বেশি সময় দিতে ইচ্ছুক নয় পেজ খোলার জন্য।

এবং যারা  এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তারা জানেন সেকেন্ড দেরিতে পেজ ওপেন হওয়ায় মানে আপনার সেল হারাতে পারেন বা ওয়েবসাইট(CTR) কমতে পারে।

গুগলের নতুন একটি তথ্য আমাকে খুব ভয় পাইয়ে ছিলো, যদি লোড টাইম 1 থেকে 5 সেকেন্ড হয় তাহলে 90% হারাতে হতে পারে এছাড়াও বোনাস রেটও খুব বাড়বে।

আর একটি মাত্র সমাধান আপনার ওয়েবসাইটের হোস্টিং চেঞ্জ করুন A2 হোস্টিং বা bluehost হোস্টিং নিন তার পর দেখুন স্পিড কাকে বলে,A2 হোস্টিংর খরচ খুবই কম, এভাবেই আপনি একটি সঠিক স্পিড অর্জন করতে পারবেন।

             
তাছাড়াও আপনি cloudflare নামক cach pluging টি ইনস্টল করতে পারেন।




সাধারণ ভাবে লিখুন:-

এটা ভুলে যাবেননা যে আপনি মানুষের জন্য কনটেন্ট লিখছেন সার্চ ইঞ্জিনের জন্য না ,তাই আমি আবার এই কথাটা বলছি,আগের আরটিকেলেও বলে ছিলাম, আপনি যখন কনটেন্ট লিখতে বসবেন তখন শুদু কনটেন্ট টির দিকে নজরদিন, এডিটিং বা প্রুফ রিডিং এগুলি পরেও করতে পারবেন।


অনেক সময়কি হয় আপনি কনটেন্ট লেখার সময় খেয়াল করলেন আপনার প্রধান কীওয়ার্ডটি অনেকবার ব্যবহার হয়ে গেছে তৎক্ষণাৎ আপনি বসে পড়লেন এডিটিং করতে, তার পরেই আবার প্রুফ রিডিং শুরু, তাহলে আপনার কনটেন্ট অসম্পূর্ণ হয়ে রইলো সঙ্গে আপনি লেখার গতিটাও হারালেন।

কিছু কনটেন্ট আছে যেগুলি প্রধান কীওয়ার্ডটিকে অনেক বার ব্যবহার করতে হয় কারণ এটাই এটার স্বভাব, আপনার উচিত সবার শেষে এটায় গুরুত্ব দেওয়া ও মেন কীওয়ার্ডটির পরিবর্তে তার সমতুল্য বা (LSI) কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করা।


যতক্ষন পর্যন্ত আপনি একটি সাধারণ গতি পাচ্ছেন আপনার উচিত প্র্যাক্টিস করা,আপনি জানেন না কখন কীওয়ার্ড স্টাফিং হয়, আবার কখন এটাই আবার পুরস্কার হিসাবে ঘুরে আসে।

___________________________________
আমার শেষ কথা:-
উপরের যতো গুলি পদ্ধতি আমি বলেছি এগুলি আপনি সবগুলি ফললোও করতে পারেন যদি আপনি ইংলিশে কনটেন্ট লিখেন, আর যদি বাংলায় লিখেন তাহলে কিছু আসা করছি ফললোও করতে পারেন এবং প্রত্যেকটি অসাধারণ কাজ দেবে।

যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্টে করুন, ও প্রচুর শেয়ার করুন আপনার ফ্যামিলি,বন্ধু, ক্লাস মেট অন্যান্যদের কাছে।


Load comments