গুগল এডসেন্স কি? কিভাবে এডসেন্স থেকে আয় করবেন?( Google AdSense A to Z guide)

গুগল এডসেন্স কি? কিভাবে এডসেন্স থেকে আয় করবেন?( Google AdSense A to Z guide)




গুগল এডসেন্স কি? কিভাবে এডসেন্স থেকে আয় করবেন?
গুগল এডসেন্স কি? কিভাবে এডসেন্স থেকে আয় করবেন?



আপনি যদি গুগল এডসেন্স কি? বা এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করবেন? এ এব্যাপারে জনতে ইচ্ছুক তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় আসে পৌঁছেছেন এই গাইডটির মধ্যে গুগল এডসেন্স সমন্ধে কিছু সত্যি কারের তথ্য জানবো।

2012 তে গুগল 13.76 বিলিয়ন ডলার ইনকাম করেছে, এবং তাদের ইনকামের 68% দেওয়া হয়ে ছিলো পাবলিশারকে মানে 9.35 বিলিয়ন ডলার, আপনিও কিএই অংকের টাকা থেকে কিছুটা ভাগ  চাইছেন,তাহলে নিচের দেওয়া গাইডটি পুরো পড়ুন।


আজ সারা প্রথিবীর মানুষ এডসেন্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকেন তাদের ব্লগ, ইউটউব, আপ্পসকে মনিটাইজ করার জন্য, এবং তারা অবশ্যই কিছু ইনকাম করছেন তাদের ব্লগের মাধ্যমে এডসেন্স ব্যবহার করে, আপনি চেষ্টা করুন।


কিন্তু টাকাতো আর হেটে আসবেনা,সেটাই আপনিও জানতে চাইছেন কিভাবে টাকা আর্ন করবেন এডসেন্স থেকে সেটার উপায় বলতে গেলে আপনার ব্লগ বা ইউটিউবের চ্যানেল বানাতো হবে, সেখান দৈনিক কনটেন্ট দিয়ে আপনার একটি অডিয়েন্স তৈরি করতে হবে।

কোনো গুগল এডসেন্স?
গুগল নিজেই এটার ওনার হবার জন্য এটার প্রতি মানুষের বিশ্বাস,স্বচ্ছ ও নৈতিক, সরল, সোজা হওয়ায় মানুষের সব থেকে এডসেন্স আগে পছন্দ।



চালুন শুরু করা যাক-


#1গুগল এডসেন্স কি?

আমি কোনো বর্ণনা করবো না কিন্তু উইকিপিডিয়ার মতো গুগল এডসেন্স একটি প্রোডাক্ট যেটা চালনা করে গুগল নিজে, যেটা পাবলিশারকে সাহায্য করে তাদের ব্লগে সয়ংক্রিয় ভাবে বিজ্ঞাপন উপস্থাপন করার জন্য অডিয়েন্সর পছন্দমতো যেমন টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি।

যখনই আপনি কোনো ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়ছেন বা কিছু করছেন লক্ষ করবেন একধরনের এডস ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখাচ্ছ, এগুলি গুগল এডসেন্সর এডস,এগুলি কনটেক্সটচুয়াল
(contextual) এডস বলে।


গুগল এডসেন্স একটি প্রোডাক্ট গুগলের যেটা শুধু মাত্র পাবলিশারের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে,এডসেন্স এতো পপুলার হবার পেছনে একটি কারণ তারা যে এডস গুলি ব্লগ বা ভিডিওতে আনেন সেগুলি গুণও গতো মান সম্পন্ন।


গুগল একটি সার্চ ইঞ্জিনের থেকেও একটি বড়ো এডস কোম্পানি,যাদের লক্ষ শুধু ভ্যালু যুক্ত করা তাদের। পাবলিশারের ব্লগে, এডভারটাইসারের দেওয়া বিজ্ঞাপনের মাধম্যে।যাদের যাত্রাপথ শুরু করে ছিলো 2003 মার্চ মাসে।




#2 Google এডসেন্সের থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন ?


আপনার ব্লগ বা ইউটিউব বা ফ্রি ব্লগ প্রয়োজন যেখান আপনি এডসেন্সর জন্য আপিল করতে পারেন কনটেন্ট লিখে, যেটার প্রধান শর্ত ট্রাফিক বা ভিসিটর্স প্রয়োজন দৈনিক।

কিন্তু আমি যখন কাজ শুরু করে ছিলাম ব্লগস্পটে তখন একটি ভালো মাপের ব্লগ বানিয়ে তাতে এডসেন্স এপ্রভু পাওয়া খুব কঠিন ছিলো বা ইউটিউবে বাংলায় ভিউ পাওয়া খুব কঠিন ছিলো, কিন্তু এখন নির্দ্বিধায় ব্লগ বা ইউটিউবে কাজ করতে পারেন।


আমি জানি আপনি কনটেন্টটি পড়ার 1 ঘন্টার মধ্যেই একটি ভালো মানের ফ্রি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে কাজ করতে পারবেন, কোনো অসুবিধা ছাড়াই।



#3 কিভাবে গুগল এডসেন্স কাজকরে ?


একটি সাধারণ উত্তরঃ যেসব ব্যাবসায়িক ব্যাক্তি গুগলে পয়সা দেন এডস বা বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য পাবলিশারের ব্লগে বা ভিডিওতে।

যারা জানেন গুগল এডওয়ার্ড ব্যাবসায়ীক ব্যাক্তিদের জন্য ঠিক তার উল্টো গুগল এডসেন্স পাবলিশারের জন্য।(ব্লগারদের বলাহয়)

যখনি কোনো মানুষ যেকোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভালো কন্টেন্টের উদ্দেশ্যে তখনই তারা এডস বা বিজ্ঞাপনের মুখও-মুখী হয়, এবং তারা সেই এডসএ ক্লিক করলে গুগল ব্লগারের মালিককে পয়সা দেয় প্রত্যেক ক্লিকে।

যেই পয়সা গুলি গুগলকে দিচ্ছে এডভাটাইসাররা এডস দেখানের জন্য,যতোটা পয়সা গুগলকে এডভাটাইসাররা দেয় তার 68% গুগল ব্লগারদের দেয় এবং 32% তাদের নিজের কাছে রাখে কিছু কমিশন হিসাবে।

যদি আমি একটি সাধারণ ভাষায় বলি এডভাটাইসাররা 100 টাকা দিলে 68 টাকা ব্লগাররা পায় আর 32 টাকা গুগল তাদের নিজের কাছে রাখে।

এভাবেই গুগল কিছু পয়সা ইনকাম করে আর advertiser থেকে এবং যেটার কিছুটা আমাদের দেয়।

তাহলে আপনিও জানতে পারলেন এডসেন্স ও এডওয়ার্ড কিভাবে একে অন্যের সাথে যুক্ত।



#4 গুগল এডসেন্স কিভাবে টাকা দেয়?


কিভাবে এডসের জন্য পাবলিশারকে পয়সা দেওয়া হয় তার কিছু হিসাব:-

#CPC:{COST PER CLICK}- 10 সেন্ট থেকে 2 ডলার পর্যন্ত একটি পাবলিশারকে দেওয়া হয়, যখন কোনো ভিসিটর্স কোনো এডস ক্লিক করে সেটাও নির্ধারিত হয় তার ভৌগোলিক অবস্থান হিসাবে।

1, যেমন কোনো ব্যাক্তি যদি আমেরিকা থেকে আপনার এডস ক্লিক করে তাহলে তার ভৌগোলিক অবস্থান হিসাবে আপনার CPC বেশি পাবার কথা।

2,আবার কোনো ব্যাক্তি যদি এশিয়া স্পেসিফিক অঞ্চল থেকে আপনার এডস ক্লিক করে তাহলে CPC একটু কম হয়।


#CTR:{CLICK THROUGH RATE}-
100 মধ্যে কতো জন ব্যাক্তি আপনার এডস ক্লিক করছে সেটা বলে দেবে আপনার CTR রেট।

যদি, আপনার ব্লগ 100 মধ্যে 1 জন ক্লিক করে আপনার এডস তাহলে CTR দাঁড়ায় 1%, আবার যদি 2 জন ক্লিক করে তাহলে CTR দাঁড়ায় 3%, আবার যদি 3 জন আপনার এডস ক্লিক করে তাহলে আপনার CTR রেট হবে 4%.



#RPM:(number of page view/1000)
প্রত্যেক 1000 জন ভিউ করলে এডসেন্স কতো পয়সা দেয় তার একটা হিসাব, ধরুন আপনি প্রত্যেক দিন 1000 ভিসিটর পাচ্ছেন তাহলে 1,000×30=30,000 জন এবার ধরা যাক এডসেন্স আপনাকে 5 ডলার দিচ্ছে 1000 জন ট্রাফিকের জন্য।

তাহলে $5×30,000=$150/months
এটা একটি সাধারণ হিসাব ছিলো,যদি আপনি জানেন আপনার এভারেজ RPM কতো পাচ্ছেন তাহলে আপনি নিজেই এটা বার করে নিতে পারবেন।


#5 এডসেন্সের জন্য apply কিভাবে করবো ?


যদি আমি সাধারণ ভাষাতেই বলি তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স গিয়ে নিজে এডসেন্সের জন্য apply করতে পারবেন তার আগে কিছু জিনিস দেখে নেওয়া যাক।

#প্রথম স্টেপ:- 

আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইট রেডি কিভাবে ব্লগ বানাতে হয় তার আগেই আমি একটি ডিটেইল গাইড দিয়েছি এবং পারলে আমি বলবো একটি ওয়ার্ডপ্রেসএ ব্লগ বানান বা সাইট বানান একটি হোস্টিং ও ডোমেইন নিন এখনো থেকে। আপনার ওয়ার্ডপ্রেস রেডি হবার পর, থিম ও গুরুত্বপূর্ণ টুলস ইনস্টল করেনিন, তার পর ব্লগের একটি করে সোশ্যাল পেজ বানিয়ে নিন এবং কাজ শুরু করুন।

            



#দ্বিতীয় স্টেপ:-

কনটেন্ট লিখুন ভিসিটরের জন্য কারণ এডসেন্স কাজ করতে গেলে যেটার প্রথম প্রয়োজন প্রচুর ভালো মানের ট্রাফিক, আর তার জন্য প্রয়োজন ভালো মানের কনটেন্ট যেটা আপনি তাদের চাহিদা পূরণ করবেন।

#A লেখার প্রসেস:- 
কেউই জন্মগতো লেখক নয়, লেখালেখি করার অভিজ্ঞতা আসে আপনি কতোটা চেষ্টা করছেন, ইচ্ছুক। আপনি যেকোনো ধরণের টপিক পছন্দ করতে পারেন এবং সেটার বিষয়ে পড়তে পারেন বা টিভি দেখতে পারেন, আপনার বন্ধুদের সাথে আলোচনা করতে পারেন এভাবেই জ্ঞান অর্জন করুন ওই টপিক টির প্রতি এবং চেষ্টা করুন a থেকে z প্রযন্ত শেখার টপিকটির প্রতি বা তথ্য সংগ্রহ করুন করুন আপনি ভুল তথ্য দিলে আপনার ব্লগের ক্ষতি হতে পারে।


#B লেখার প্রসেস:-
আপনি যেটা জানেন সেটা নিয়ে লিখুন, যেমন ধরুন আপনি খুব ভালো গ্যাজেট রিভিউ করতে পারেন বা কোনো গ্যাজেট সমন্দিত বস্তুতে আপনি মতামত দিতে খুব দক্ষ,কিছু খারাপ বা ভালো দুটি দিক আপনি অবগত তাহলে আপনি লিখুন।

আপনি যদি জানেন কোনো বিষয় বস্তুর উপর কিন্তু একটু অস্বচ্ছ তাহলে আপনি আরো ব্লগ বা বই, খবরের কাগজ ইত্যাদি থেকে গবেষণা করার মাধ্যমে একটি অসাধারণ আর্টিকেল তৈরি করতে পারেন যেটার টানে প্রচুর ভিসিটর আপনার ব্লগে দৈনিক ভিড় জমাতে শুরু করবে।

#C লেখার প্রসেস:-
আপনি যদি কোনো ভালো মানের কনটেন্ট লিখছেন কোথা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন তার একটি সোর্স লিংক দিন কারন এটার জন্য মানুষের আপনার প্রতি বিশ্বাস তৈরি হবে, এছাড়ও আপনি নিত্য নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইট বা গুগল এলার্ট ব্যবহার করতে পারেন, এছাড়ও ইউটিউব ভিডিও দেকতে পারেন।

#D লেখার প্রসেস:-
চেষ্টা করবেন প্রত্যেক সপ্তায় দুটি করে আর্টিকেল লেখার এবং প্রত্যেক দিন প্র্যাক্টিস করুন ভালো করে কনটেন্ট লেখার, এছাড়াও আর্টিকেল গুলি 500 থেকে 1500 শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন,আর বেশি লম্বা করবেননা সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ হেডলাইন এবং পয়েন্ট গুলি লিখুন আগে এবং একটি দৈনিক লেখার অভ্যাস গুগল এডসেন্স আপনাকে সাহায্য করবে ভালো মাপের ইনকাম করতে।

#তৃতীয় ধাপ:- 

এডসেন্সের জন্য apply এটা একটি ভাইটাল পয়েন্ট,যদি আপনার এপ্লিকেশন রিজেক্ট হয় তাহলে আপনি কোনো মতোই আপনি পয়সা ইনকাম করতে পারবেন না, গুগল এডসেন্সের পলিসি অনুযায়ী আপনার সাইটের বয়স হতে হবে 6 মাস কিন্তু চিন্তার কিছু নেই এখন আপনি 1 মাস পুরোনো সাইটেও approve পাবেন যদি আপনার ব্লগে 10 থেকে 12টি ভালো মানের 1000-1500 শব্দের আর্টিকেল থাকে তাহলে নিশ্চিত আপনি approve হবেন,এছাড়ও about me, contact us,disclaimer, Privacy policy এবং terms and conditions অবশ্যই তৈরি করতে হবে তার বাইরে একটি স্বচ্ছ ব্লগ ডিজান প্রয়োজন,এগুলি প্রধান প্রয়োজন এগুলি না থাকলে আপনি ভুলে যান আপনি এডসেন্স approval পাবেন। googel.com/Adsense.

একবার apply করলে 2 থেকে 7 দিন সময় নেয় aprrove হবার জন্য, কখনো আপনার রিজেক্ট করেও দেয়, কারণ আপনার ব্লগের আরটিকেলের সংখ্যা কম থাকায়,আর যদি আপনি আমার কথা মতো সব ঠিক করছেন তাহলে আপনি কিছু দিন পর,পর চেষ্টা করে যান।

মনে রাখবেন- কখনোই এডসেন্সের একাউন্ট কিনতে যাবেননা, সেটা হয়তে কিছু কাজ করার পর ব্যান্ড হয়ে গেলে, আপনি হতো পারে ওই সাইট বা ব্লগে কোনো দিন এডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন না।


#6 গুগল এডসেন্স থেকে পয়সা ইনকাম:-

একবার একাউন্ট approve হয়ে গেলে 3 থেকে 6 মাস আপনি মান সম্মত পোস্ট দিতে থাকুন এবং চেষ্টা করুন বেশি করে ভিসিটর আনার তার পর আপনার গুগল এডসেন্সের কিছু পয়সা ইনকাম করতে পারবেন, যদি আপনি চাইছেন একটি সফল এডসেন্সের ব্লগ বানাতে তাহলে এটার জন্য সময় প্রয়োজন।


#7 100 ডলার ইনকাম করতে গেলে কতো ট্রাফিক প্রয়োজন?


সম্পূর্ণ নির্ভর করছে এটা CPR(click per rate)আপনার একটি গড় cpr পাচ্ছেন 0.05 ডলার তাহলে আপনার 200 ক্লিক প্রয়োজন 100 ডলার ইনকাম করার জন্য আবার, যদি আপনার গড় cpr 0.25 ডলার হয় তাহলে আপনার 400 ক্লিক প্রয়োজন।

আপনার ব্লগে যদি 2000 ট্রাফিক দৈনিক হয়,এবং cpr হয় 0.50 ডলার। তাহলে 10 গুন ট্রাফিক লাগবে যেমন 200×10=2000, তাহলেই 200 ক্লিক হওয়া সম্ভব।

এবার বলা যাক কতো গুলি আর্টিকেলের প্রয়োজন সপ্তায় 5টি, মাসে 20টি এবং 6 মাসে 120 টি কনটেন্টর টার্গেট রাখতে হবে,তবেই দৈনিক $100×30= $3000/মাস ইনকাম করতে পারবেন।


#9 গুগলের এডসেন্সের অন্য প্রতিদ্বন্দী বা গুগল এডসেন্সের অল্টারনেট-


মার্কেটে শুদু মাত্র এডসেন্স একটা বিজ্ঞাপনী প্রোগ্রাম না, তাছাড়া অনেক কনটেক্সটচুআল বিজ্ঞাপনী প্রোগ্রাম আছে।
যেমন 1/media.net 2/chitika 3/Amazon associate 4/Clicksor
5/Kontera 6/Adbrite 7/BuySellAds
8/eClickZ 9/Tribal Fusion 
10/Infolinks

কিন্তু প্রশ্ন এটাই উঠছেযে এই প্রোগ্রাম গুলির জন্য এডসেন্সের কম্পেটিশন তৈরি হচ্ছে?
উত্তরঃ হ্যা কারণ এডসেন্স কিছুটা কম্পেটিশন অনুভব করছে আজ মার্কেটে কনটেক্সটচুআল বিজ্ঞাপনী প্রোগ্রাম হিসাবে। publisher বা advertiser সবসময় এডসেন্সের বা এডওয়ার্ডর সঙ্গে যাচ্ছে তা নয় কখনো তারা অন্য কনটেক্সটচুআল বিজ্ঞাপনী প্রোগ্রাম পছন্দ করছেন।


#10 কোনো গুগল এডসেন্স ব্লগারদের প্রথম পছন্দ ?


এডসেন্স কে কোনো পছন্দ এটার মধ্যেই আসল কারণ লুকিয়ে আছে, যখন কোনো advertiser সব থেকে প্রথম পছন্দ করেন গুগল এডওয়ার্ডকে, যখন আপনি কোনো এডস ব্লগে দেখবেন আপনি জানেন এটি তাৎপর্য পূর্ণ, আগে যদি আপনি কিছু সার্চ বা কিছু প্রোডাক্ট কেনার কথা ভাবেন তাহলে ব্লগগে প্রবেশ করার পর সেই রকমের বিজ্ঞাপন দেখায়,

এটার কারণ গুগলের AI(এটিফিশাল
ইন্টেলিজেন্স) আপনার সব তথ্য নজরে রেখে আপনাকে বিজ্ঞাপন গুলি দেখায়, এটা তাৎপর্য পূর্ণ কারণ ভিসিটররা খুব সহজেই কিনতে পারেন সেই প্রোডাক্ট বা বিষয়টি,তাই গুগল সেই রকমের এডস আনেন ব্লগে বা ওয়েবসাইটে।

এছাড়ও,ইন্টারনেটের রাজা হচ্ছে গুগল তাই এটাতে মানুষ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে,যেটাই গুগলকে এগিয়ে রাখে অন্য প্রতিদ্বন্দীর থেকে,আপনার কোনো সমস্যা হচ্ছে এডস লাগানো নিয়ে আপনি গুগল এডসেন্সের কাছে সাহায্য চাইতে পারেন,কোনো কিছু না ভেবেই তারা সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।

আপনি এডসেন্সর পাশাপাশী আরো অন্য 3rd পার্টি এডস ব্যবহার করতে পারেন এটাই কোনো সমস্যা নেই, একই সঙ্গে আপনি দুটি জায়গায় থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

আগে কোনো 3rd পার্টি এডস এলাও করতো না গুগল কিন্তু প্রচুর কম্পেটিশন হওয়ায় এখন তারা বাধ্য হয়েছে 3rd পার্টি এডস ব্যবহার। কারণ তারা কোনো পাবলিশারকে হাত ছাড়া করতে চায় না।

সব থেকে আমার ভালো লাগে একটা ব্যাপার গুগল এডসেন্স খুব ভালো সময়ে পেমেন্ট করেন, মাসের ঠিক সঠিক সময়ে,এবং আপনি যতোটা ইনকাম করছেন পুরোটাই দিয়েদেয় কোনো কমিশন না কেটেই, করুন তারা আগেই কমিশন নিয়ে নেন advertisers থেকে।



#11 Advertisers কতোটা গুগলকে পছন্দ করেন?


Advertisers দের এখানে কিছু করার নেই কারণ,গুগল এডসেন্স তাদের জন্যনা, এডওয়ার্ড তাদের জন্য, তবুও এডওয়ার্ড ও এডসেন্সের একটি যোগ আছে,যেটা তাদের প্রভাব ফেলতে পারে।

গুগলের এডসেন্স প্রচুর বড়ো মাপের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত,এটার কারণেই  Advertisers রা খুশি হয় তাদের এডস খুব বেশিদূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে,যেটা Advertisers দের ব্যান্ড ভ্যালু বাড়াবো এবং অনেক প্রোডাক্টও বিক্রি করতে পারবে।

গুগল ওয়েবসাইট অনুযায়ী এডস দেখান অনেক সময়ে, যেটার মাধ্যমে advertiser খুবি সাহায্য হয়,প্রোডাক্ট বিক্রির ক্ষেতে।


যখনই advertiser রা ভালো মানের পয়সা দেবে গুগলকে,গুগল publishers কে ভালো পরিমান পয়সা দেবে, যখনই ভালো পয়সা ব্লগার বা ওয়েবসাইট পাবেন, তখনই তারা আরো ভালো কনটেন্ট তৈরি করবে যেটা সবশেসে advertiser সাহায্য হবে আরো ব্যবসা বৃদ্ধিতে।


আমার শেষ কথা:-
আসাকরি আমি বুঝাতে পারলাম কিভাবে সবকিছু করবেন এডসেন্সর মাধম্যে ও কোনো এডসেন্স বেস্ট,আবার আপনার পার্ট আপনি চেষ্টা করুন ভালো ব্লগ লেখার ও ভিসিটর্স আনার এবং তাদের ধরে রাখার চেষ্টা করুন দৈনিক মাসে ইনকাম হবার জন্য।

যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার ও কমেন্ট করুন এতটুকু আমার আসা, best of luck

Load comments